ঐসে ইস পরম পবিত্র শাস্ত্রমেং তীন শ্রুতস্কন্ধ হৈং . প্রথম শ্রুতস্কন্ধকা নাম
‘জ্ঞানতত্ত্বপ্রজ্ঞাপন’ হৈ . অনাদিকালসে পরোন্মুখ জীবোংকো কভী ঐসী শ্রদ্ধা নহীং হুঈ কি ‘মৈং
জ্ঞানস্বভাব হূঁ ঔর মেরা সুখ মুঝমেং হী হৈ’ . ইসীলিএ উসকী পরমুখাপেক্ষী – পরোন্মুখবৃত্তি
কভী নহীং টলতী . ঐসে দীন দুখী জীবোং পর আচার্যদেবনে করুণা করকে ইস অধিকারমেং
জীবকা জ্ঞানানন্দস্বভাব বিস্তারপূর্বক সমঝাযা হৈ; উসীপ্রকার কেবলীকে জ্ঞান ঔর সুখ
প্রাপ্ত করনেকী প্রচুর উত্কৃষ্ট ভাবনা বহাঈ হৈ . ‘‘ক্ষাযিক জ্ঞান হী উপাদেয হৈ,
ক্ষাযোপশমিকজ্ঞানবালে তো কর্মভারকো হী ভোগতে হৈং; প্রত্যক্ষজ্ঞান হী একান্তিক সুখ হৈ,
পরোক্ষজ্ঞান তো অত্যংত আকুল হৈ; কেবলীকা অতীন্দ্রিয সুখ হী সুখ হৈ, ইন্দ্রিযজনিত সুখ
তো দুঃখ হী হৈ; সিদ্ধ ভগবান স্বযমেব জ্ঞান, সুখ ঔর দেব হৈং, ঘাতিকর্ম রহিত ভগবানকা
সুখ সুনকর ভী জিন্হেং উনকে প্রতি শ্রদ্ধা নহীং হোতী বে অভব্য (দূরভব্য) হৈং’’ যোং
অনেকানেক প্রকারসে আচার্যদেবনে কেবলজ্ঞান ঔর অতীংদ্রিয, পরিপূর্ণ সুখকে লিযে পুকার কী
হৈ . কেবলীকে জ্ঞান ঔর আনন্দকে লিএ আচার্যদেবনে ঐসী ভাব ভরী ধুন মচাঈ হৈ কি
জিসে সুনকর – পঢ়কর সহজ হী ঐসা লগনে লগতা হৈ কি বিদেহবাসী সীমংধর ভগবানকে
ঔর কেবলী ভগবন্তোংকে ঝুণ্ডমেংসে ভরতক্ষেত্রমেং আকর তত্কাল হী কদাচিত্ আচার্যদেবনে যহ
অধিকার রচকর অপনী হৃদযোর্মিযাঁ ব্যক্ত কী হোং. ইস প্রকার জ্ঞান ঔর সুখকা অনুপম
নিরূপণ করকে ইস অধিকারমেং আচার্যদেবনে মুমুক্ষুওংকো অতীন্দ্রিয জ্ঞান ঔর সুখকী রুচি
তথা শ্রদ্ধা করাঈ হৈ, ঔর অন্তিম গাথাওংমেং মোহ – রাগ – দ্বেষকো নির্মূল করনেকা জিনোক্ত
যথার্থ উপায সংক্ষেপমেং বতাযা হৈ .
দ্বিতীয শ্রুতস্কন্ধকা নাম ‘জ্ঞেযতত্ত্ব – প্রজ্ঞাপন’ হৈ . অনাদিকালসে পরিভ্রমণ করতা
হুআ জীব সব কুছ কর চুকা হৈ, কিন্তু উসনে স্ব – পরকা ভেদবিজ্ঞান কভী নহীং কিযা .
উসে কভী ঐসী সানুভব শ্রদ্ধা নহীং হুঈ কি ‘বংধ মার্গমেং তথা মোক্ষমার্গমেং জীব অকেলা
হী কর্তা, কর্ম, করণ ঔর কর্মফল বনতা হৈ, উসকা পরকে সাথ কভী ভী কুছ ভী
সম্বন্ধ নহীং হৈ’. ইসলিএ হজারোং মিথ্যা উপায করনে পর ভী বহ দুঃখ মুক্ত নহীং হোতা .
ইস শ্রুতস্কন্ধমেং আচার্যদেবনে দুঃখকী জড় ছেদনেকা সাধন – ভেদবিজ্ঞান – সমঝাযা হৈ .
‘জগতকা প্রত্যেক সত্ অর্থাত্ প্রত্যেক দ্রব্য উত্পাদ – ব্যয – ধ্রৌব্যকে অতিরিক্ত যা গুণ – পর্যায
সমূহকে অতিরিক্ত অন্য কুছ ভী নহীং হৈ . সত্ কহো, দ্রব্য কহো, উত্পাদ – ব্যয – ধ্রৌব্য
কহো যা গুণপর্যাযপিণ্ড কহো, – যহ সব এক হী হৈ’ যহ ত্রিকালজ্ঞ জিনেন্দ্রভগবানকে দ্বারা
সাক্ষাত্ দৃষ্ট বস্তুস্বরূপকা মূলভূত সিদ্ধান্ত হৈ . বীতরাগবিজ্ঞানকা যহ মূলভূত সিদ্ধান্ত
প্রারম্ভকী বহুতসী গাথাওংমেং অত্যধিক সুন্দর রীতিসে, কিসী লোকোত্তর বৈজ্ঞানিক ঢংগসে
[ ১৩ ]